নিজেকে সেরা বানানোর সাতটি কৌশল

নিজেকে সেরা বানানোর সাতটি কৌশল
নিজেকে সেরা করে গড়ে তোলার সাত উপায়ের কথা আপনারাও জেনে নিন । ১. ঘুম থেকে উঠে দশ মিনিট মেডিটেশন করুন। এরপর সারা দিনে কী কী করবেন, তার একটা তালিকা তৈরি করে ফেলুন। এ রকম সাপ্তাহিক, মাসিক, বাৎসরিক তালিকা করে নিজের লক্ষ্যের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান। ২. আপনি জিমে যান। নিদেনপক্ষে দৌড়ান। এগুলো কিছুই সম্ভব না হলে ঘণ্টাখানেক হাঁটুন। আর খাবারের তালিকা থেকে ভাজাপোড়া বাদ দিন। একান্তই খেতে ইচ্ছে করলে বাড়িতে বানিয়ে খান। তবে একবার ভাজার পর সেই তেল ফেলে দেবেন। প্রচুর পানি খান। চিনি বাদ দেবার চেষ্টা করুন। ছোট ছোট এরকম নিয়মেই আপনার স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যগত অনেকখানি পরিবর্তন আসবে। আপনার শরীর ভেতর আর বাইরে থেকে সুন্দর থাকবে। ৩. নিজের ভবিষ্যৎ নিজেই গড়ুন। একা গড়ুন। ভয়ে ভয়ে গড়ুন। ভেঙে পড়ুন, আবার উঠে দাঁড়ান। নতুন উদ্যমে পথ চলা শুরু করুন। তবে যথাসম্ভব নিজের পথ নিজে তৈরি করুন। নিজের সংগ্রাম নিজে করুন। শর্টকাট ভুলে লম্বা রাস্তা ধরুন। ৪. ‘লোকে কী বলল’—এটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। অযথা মানুষের পরামর্শ নিয়ে বিভ্রান্ত হবেন না। বরং নিজের মনের কথা শুনুন। আর যে মানুষ আপনাকে আপনার চেয়ে ভালো বোঝেন বলে মনে করেন বা সঠিক পরামর্শ দেবেন বলে আস্থা আছে, তার কাছে পরামর্শ চাইতে পারেন। আত্মবিশ্বাসী হোন। ৫. নিজেকে কখনোই অন্যের সঙ্গে তুলনা করবেন না। মনে রাখবেন, প্রতিটা মানুষের জীবন আলাদা। আপনি নিজেকে কেবল নিজের সঙ্গেই তুলনা করবেন। প্রতিটা দিন নিজেকে পরিণত করে তুলুন। ৬. অন্যকে আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। অন্যের কর্মকাণ্ড, কথাবার্তা আপনার হাতে নেই। আপনি আপনার আবেগ ও রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন। উদার হোন। ক্ষমা করে দিন। কিন্তু বিষয়টা ভুলে যাবেন না। ৭. নিজের চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন। রাগ, ক্ষোভ, দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকুন। ইতিবাচকতায় নিজেকে আবৃত রাখুন। অন্যকে বিশ্বাস করুন। তবে ‘চেক’ করতে ভুলবেন না।